নেট-জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দ্রুত কার্বন নির্গমন হ্রাস অপরিহার্য
October 29, 2024
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আজ (২৯ অক্টোবর, ২০২৪) ঢাকার একটি হোটেলে 'ক্লাইমেট প্রমিস - অঙ্গীকার থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ' প্রকল্পের অধীনে একটি কর্মশালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন অর্জনের জন্য দ্রুত কার্বন নির্গমন হ্রাসের গুরুত্বকে জোর দেন, যা অনেক দেশের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
জার্মানির ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের জলবায়ু প্রতিশ্রুতিগুলিকে লো ইমিশন, জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই ভবিষ্যতের দিকে কার্যকরী পথ হিসেবে রূপান্তর করতে সহায়তা করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
২০১৯ সালের জাতিসংঘ ক্লাইমেট একশন সামিটে চালু হওয়া ক্লাইমেট প্রমিস উদ্যোগটি ১০০ টিরও বেশি দেশকে তাদের ন্যাশনালী ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) কার্যকর বাস্তবায়নে সহায়তা করে আসছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ এর দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করেছে, যার লক্ষ্য এনডিসি লক্ষ্যগুলো অর্জন করা এবং জলবায়ু কৌশলগুলি দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফরহিনা আহমেদ, জলবায়ু-সম্পর্কিত প্রযুক্তি বাস্তবায়নে সামাজিক গতিশীলতার ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস বা অভিযোজনের জন্য যে কোনো প্রযুক্তি বিবেচনার ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই এর সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং নাগরিক আচরণ বিবেচনা করতে হবে। উন্নত প্রযুক্তি বা পদ্ধতির সফল গ্রহণ একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ যেমন তার সংশ্লিষ্ট নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন।”
বাংলাদেশে ইউএনডিপির ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনালি দয়ারত্নে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের সাথে নেট-জিরো লক্ষ্যকে সামঞ্জস্য করার প্রস্তাব করে বলেন, “বাংলাদেশের এনডিসি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রূপান্তর সহ নেট-জিরো নির্গমন অর্জনে বিভিন্ন কৌশল বিবেচা করা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষার্থে বাংলাদেশ যথেষ্ট শক্তিশালী নীতি প্রতিষ্ঠা করেছে; এখন, একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমাসহ কর্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করে সেগুলো বাস্তবায়ন করাই গুরুত্বপূর্ণ।”
জার্মান উন্নয়ন সহযোগিতার কাউন্সেলর ও প্রধান প্রতিনিধি ফ্লোরিয়ান হোলেন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, “বাংলাদেশ উন্নয়নের এক মডেল। এই দেশটির পর্যাপ্ত অভ্যন্তরীণ জ্ঞান রয়েছে যা, সঠিকভাবে প্রয়োগ করা গেলে, পরিষ্কার জ্বালানির প্রয়োগ আরও বৈচিত্র্যময় করতে পারে।” তিনি উল্লেখ করেন যে জার্মান সরকার বাংলাদেশে ১.৩ বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে €১.১ বিলিয়ন ইউরো জলবায়ু পরিবর্তন, নগর উন্নয়ন এবং জ্বালানির ক্ষেত্রে।
অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট আরিফ ফয়সল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সি৩ইআর-এর উপদেষ্টা ও অধ্যাপক এমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত, এনএকম-এর নির্বাহী পরিচালক ড. এস.এম. মনজুরুল হান্নান খান এবং জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বক্তব্য দেন।